১। ক্রীড়া বিভাগের নাম : এ্যাথলেটিকস
২। প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে মানুষকে প্রাণী শিকার করার সময় কখনও দৌড়াতে হতো, কখনও প্রস্তরখণ্ড নিক্ষেপ করতে হতো,কখনও বা ছোট নালা বা ঝোঁপ-ঝাড়ের উপর দিয়ে লাফ দিতে হতো। কখনও কখনও দৌড়ে হিংস্রপ্রাণীর আক্রমন থেকে প্রাণ বাঁচাতে হতো আর এইভাবেই এ্যাথলেটিকস এর চর্চা চলতে থাকে। এ্যাথলেটিকসের জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন ইভেন্টের উৎপত্তি হতে থাকে এবং আইন কানুনেরও পরিবর্তন সাধিত হতে থাকে। কঠোর পরিশ্রম ,উন্নত কলাকৌশল এবং আধুনিক প্রযুক্তির সমারোহে নতুন নতুন রেকর্ড সৃষ্টির মাধ্যমে এ্যাথলেটিকস ক্রীড়া সারা বিশ্বে অনন্য উচ্চতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে।
৩। ১৯৮৭ সালে ১০ জন প্রশিক্ষণার্থী এবং ০১ জন কোচ নিয়ে বিকেএসপিতে এ্যাথলেটিকস বিভাগের যাত্রা শুরু হয়।
৪। বর্তমানে এ ক্রীড়া বিভাগে ১০ জন কোচ নিয়োজিত আছেন ।
৫। ০১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখের তথ্য অনুসারে এই ক্রীড়া বিভাগে ২২ জন ছেলে ও ১৩ জন মেয়ে প্রশিক্ষণার্থী রয়েছে ।
৬। আঞ্চলিক কেন্দ্রে এই ক্রীড়া বিভাগের কোন প্রশিক্ষণার্থী নেই।
৭। প্রশিক্ষণার্থীদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের জন্য এই ক্রীড়া বিভাগে একটি আন্তর্জাতিক মানের ৮লেন বিশিষ্ট সিনথেটিক এ্যাথলেটিকস ট্র্যাক, ৪ লেন বিশিষ্ট ১০০মিটার সিনথেটিক ইনক্লাইন্ড এ্যাথলেটিকস ট্র্যাক ও আন্তর্জাতিক মানের এ্যাথলেটিকসের বিভিন্ন ইভেন্ট প্রশিক্ষণের সরঞ্জামাদি রয়েছে।
৮। এ পর্যন্ত এই ক্রীড়া বিভাগ থেকে ২৩ জন ছেলে ও ২২ জন মেয়ে প্রশিক্ষণার্থী জাতীয় দলের খেলোয়াড় হিসেবে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছে। এদের মধ্যে ফৌজিয়া হুদা জুঁই, শিরিন আক্তার, বিমল চন্দ্র তরফদার, মোঃ সজিব হোসেন, মেজবা আহম্মেদ ও জহির রায়হান অন্যতম।