১। ক্রীড়া বিভাগের নামঃ শ্যুটিং
২। শ্যুটিং এমন একটি ব্যক্তিগত ও দলীয় খেলা যাতে বিভিন্ন দূরত্বে রাইফেল, পিস্তল প্রভৃতি আগ্নেয়াস্ত্রের সাহায্যে নির্দিষ্ট মানের লক্ষ্য ভেদ করা হয়।
সময় কাটানোর জন্য ১৮৬০ সালে ব্রিটনে সর্বপ্রথম শ্যূটিং ক্রীড়ার সূত্রপাত ঘটে। ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে অলিম্পিক ক্রীড়া আরম্ভের প্রথম থেকেই অলিম্পিকে শ্যুটিং ক্রীড়া অন্তর্ভুক্ত হয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কমনওয়েলথ গেমসে শ্যুটিং ক্রীড়ায় সর্বপ্রথম স্বর্ণপদক অর্জন করে সার বিশ্বে বাংলাদেশ পরিচিতি লাভ করে। বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে শ্যুটিং ফেডারেশন গঠিত হয়। ১৯৭৭ সালে প্রথম জাতীয় শ্যুটিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে এক বছর পর পর জাতীয় শ্যুটিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। শ্যুটিং মূলত একটি মনস্তাত্ত্বিক খেলা। যুগোপযোগী অস্ত্র ও গুলির সমন্বয়ে একাগ্রচিত্তে ভাল প্রশিক্ষকের অধীন নিয়মিত অনুশীলন চালিয়ে যেতে পারলে জাতীয় ও আন্তজার্তিক পর্যায়ে সাফল্য আশা করা যায়।
৩। ২০০০ সাল হতে বিকেএপিতে শ্যূটিং ক্রীড়ার কার্যক্রম শুরু হয় এবং ২০০১ সালে শ্যূটিং কমপ্লেক্সটি উদ্বোধন করা হয়।
৪। বর্তমানে এ ক্রীড়া বিভাগে ৫ জন কোচ নিয়োজিত আছেন ।
৫। ০১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখের তথ্য অনুসারে এই ক্রীড়া বিভাগে ২৫ জন ছেলে ও ১৬ জন মেয়ে প্রশিক্ষণার্থী রয়েছে।
৬। আঞ্চলিক কেন্দ্রে এই ক্রীড়া বিভাগের কোন প্রশিক্ষণার্থী নেই।
৭। প্রশিক্ষণার্থীদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের জন্য এই ক্রীড়া বিভাগে আন্তর্জাতিক মানের ১টি ৫০ মিটার, ১টি ২৫ মিটার ও ১টি ১০ মিটার শ্যুটিং রেঞ্জ এবং ১টি স্কিট রেঞ্জ রয়েছে।
৮। এ পর্যন্ত এই ক্রীড়া বিভাগ থেকে ১৩ জন ছেলে ও ১২ জন মেয়ে প্রশিক্ষণার্থী জাতীয় দলের খেলোয়াড় হিসেবে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দেশের জন সুনাম বয়ে এনেছে। এদের মধ্যে আসিফ হোসেন খাঁন, মো: আবদুল্লা হেল বাকী, অর্ণব শাহরার লাদিফ, রাব্বি হাসান মুন্না, শারমিন আক্তার,তুরিং দেওয়ান অন্যতম।