ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মুনীরুল ইসলাম, এসজিপি, এসইউপি (বার), পিএসসি, পিএইচডি
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মুনীরুল ইসলাম, এসজিপি, এসইউপি, পিএসসি, পিএইচডি ১৮ জুন ১৯৯৩ তারিখে ২৮ তম বিএমএ লং কোর্সের সাথে অর্ডন্যান্স কোরে কমিশন প্রাপ্ত হন। তাঁর দীর্ঘ ৩১ বছরের কর্মজীবনে, তিনি মূলত একজন লজিস্টিসিয়ান হিসেবে কাজ করলেও একজন সাপ্লাই চেইন এবং প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিস্ট হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে বিশেষ ভাবে সুপরিচিত।
তিনি গত ২৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ২২তম মহাপরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। এর পূর্বে, ব্রিগেডিয়ার মুনীর সেনা সদরের পরিচালক, পার্সোনেল সার্ভিসেস হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে জি-২ এবং জি-১ (প্রকিউরমেন্ট), সেনা সদরে সহকারী পরিচালক অর্ডন্যান্স সার্ভিসেস, ডিরেক্টরেট জেনারেল ডিফেন্স পারচেজের একজন সহকারী পরিচালক (ক্রয়) হিসাবে কাজ করেছেন। তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল ও মেজর পদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুটি লজিস্টিক ইউনিটের কমান্ড করেন। লজিস্টিসিয়ান হিসেবে তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি মাদার লজিস্টিকস্ ডেপোতে (সিওডি) তে কাজ করেছেন। তিনি অর্ডন্যান্স সেন্টার অ্যান্ড স্কুলের (বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লজিস্টিক ইনস্টিটিউট) একজন প্রশিক্ষক ছিলেন। এছাড়াও তিনি সাউথ-ইস্ট ইউনিভার্সিটির পার্ট টাইম ফ্যাকাল্টি মেম্বার হিসেবে নিয়মিত এমবিএ প্রোগ্রামে কৌশলগত ব্যবস্থাপনা এবং আন্তর্জাতিক চুক্তি আইন বিষয়ে পাঠ প্রদান করেছেন। তিসি ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডে একজন পরিচালক হিসেবে দীর্ঘসময় দায়িত্ব পালন করেছেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁর পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন। তার গবেষণার বিষয় ছিল ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট ইন বাংলাদেশ-এ স্টাডি ইন দ্য হেলথ সেক্টর। গবেষণায় তিনি মূলত বাংলাদেশে প্রচলিত সরকারি ব্যয় পদ্ধতি নিয়ে কাজ করেন। এতে তিনি পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট (পিপিএ)-২০০৬ এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রেগুলেশন (পিপিআর)-২০০৮-এর সক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতা তুলে ধরার চেষ্টা করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস থেকে এক্সপ্লোসিভ অর্ডন্যান্সের উপর স্নাতকোত্তর, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্টের উপর ডিপ্লোমা, রপ্তানি পরিচালনার জন্য এল/সি পদ্ধতির উপর প্রশিক্ষণ এবং ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইনস্টিটিউট থেকে Effective Negotiation, বেল হেলিকপ্টার থেকে ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। , সিঙ্গাপুর, নেভাল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্কুল, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইন্টারন্যাশনাল ডিফেন্স ম্যানেজমেন্ট কোর্স এবং ইউএস প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড ফাইন্যান্সিং সিস্টেম, ইন্টারন্যাশনাল ‘ ল ’ ইনস্টিটিউট থেকে অ্যাডভান্সড আরবিট্রেশন ট্রেনিং, যুক্তরাজ্য থেকে মিডিয়েশন এবং টিওটি টু দ্য মিডিয়েশনের অ্যাক্রিডিটেশন কোর্স সম্পন্ন করেন। তিনি বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টারে (BIAC) বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির একজন স্বীকৃত মধ্যস্থতাকারী।
তিনি রাশিয়া, চীন, তুরস্ক, হাঙ্গেরি এবং ভারতের সাথে বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিরক্ষা বিষয়ক আলোচনা কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি আইভরি কোস্ট, ইথিওপিয়া এবং ইরিত্রিয়াতে নীল হেলমেটের অধীনে শান্তিসেনা হিসাবে কাজ করেন। তিনি বিভিন্ন ইংরেজি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার একজন নিয়মিত কলামিস্ট, যেখানে তিনি মূলত অর্থনীতি এবং ব্যবসা বিষয়ে লিখে থাকেন।
ব্যক্তি জীবনে তিনি শেখ শামীমা আক্তারের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই সুখী দম্পতির তিন পুত্র, যথাক্রমে মুহাম্মদ ফারহান মুনীর, মুহাম্মদ ফাহমিদ মুনীর এবং মুহাম্মদ ফাইয়াজ মুনীর।